সাপাহারে বাবাকে মারধর ও গুমের অভিযোগ আপন ছেলে- মেয়ের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
০৭-১২-২০২৩ ০৫:৫৯:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৭-১২-২০২৩ ০৬:০২:১৯ অপরাহ্ন
নাজমুল হক সনি , সাপাহার : নওগাঁর সাপাহারে বসবাস করায় মারধর ও গুমের শিকার নিয়ামতপুরে আহম্মেদ আলী নামে এক বৃদ্ধ কৃষক। মারধর করে নগদ টাকা লুট ও গুম করেছে তারই আপন ছেলে,মেয়ে ও জামাই।
গত শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪ টার দিকে নিয়ামতপুর উপজেলার চৌপুকুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৌদি আরব দীর্ঘদিন ছিলেন আহম্মেদ আলি, সেখান থেকে ফেরার এক বছর পর সাপাহারে পাহাড়ি পুকুর গ্রামে এক মেয়েকে বিয়ে করে সাপাহার সদরে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতে থাকে ওই বৃদ্ধ। এ ঘটনার পর আহম্মেদ আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের বগধন গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম, বিউটি ও নাগিস এবং একই গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে আলাল উদ্দীন।
থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বরের আহম্মেদ আলী ধান বিক্রি করার উদ্দেশ্য চৌপুকুরিয়া গ্রামে জনৈক সাইফুল ইসলামের ধানের আড়ৎ ঘরে যায়। ধান বিক্রি শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আড়ৎ থেকে বের হলে রাস্তা পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা লুটে নেয়। মারধর ও টাকা লুট করে ছেলে মেয়ে মিলে বাবাকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এখন আহম্মেদ আলী নিখোঁজ আছে।
আহম্মেদ আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ধান বিক্রি শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে। তারা পথরোধ ও এলোপাতাড়ি মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত আমার স্বামী নিখোঁজ রয়েছে। আমার স্বামীকে উদ্ধার সহ আমি এই ঘটনার সুবিচার চায়।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাইদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স